ওমার ইবনে আলখাত্তাব (5)

on Monday, July 16, 2012

ওমার ইবনে আল খাত্তাব কালেমা তাইয়িবা পড়ার মাধ্যমে ইসলাম গ্রহনের পর রাসুল(সাঃ) কে কোথায় পাওয়া যাবে তা জিজ্ঞাসা করলেন এবং কেউ একজন বললেন যে তিনি দার আল আকরাম ইবনে আবি আল আকরাম(যেখানে মুসলমানদের কোরআন শিখানো হয়)এ আছেন।সায়েদিনা আল খাব্বাব ওমার কে বললেন যে রাসুল(সাঃ) আল্লাহ্‌র কাছে ইসলাম কে সমর্থন করতে ওমার ইবনে আল খাত্তাব অথবা ওমার ইবনে হাইশাম এর জন্য প্রার্থনা করেন।এটা ওমার ইবনে আল খাত্তাব কে অনেক বেশি অবাক করে কেননা তিনি কখনই ভাবতে পারেনি যে রাসুল(সাঃ) চান তিনি ইসলাম গ্রহন করুক।বিশেষভাবে তিনি মুসলিমদের অত্যাচার এর জন্য অনেক বেশি বিখ্যাত ছিল।

ওমার ইবনে আল খাত্তাব দারুল আকরাম এ পৌঁছালেন এবং দরজায় ধাক্কা দিলেন।ফলে সায়েদিনা বেলাল বিখ্যাত সাহাবাদের একজন জিজ্ঞাসা করলেন কে দরজায় কড়া নাড়ছে,ওমার বললেন যে তিনি ওমার। রাসুল (সাঃ) ৩৯ জন সহচর নিয়ে ছিলেন তারা সবাই আতঙ্কিত হলেন এই ভেবে যে দরজায় ওমার ইবনে আল খাত্তাব। তারা ভয় পেল যে ওমার আসবেন এবং রাসুল(সাঃ)কে হত্যা করবে।সায়েদিনা হামজা রাসুল (সাঃ) এর সাথে ছিলেন এবং তিনি রাসুল(সাঃ)এর নিকট দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন।যদি ওমার শান্ত ভাবে আসে তবে সে স্বাগতম কিন্তু যদি তিনি রাসুল(সাঃ) কে হত্যার উদ্দেশে আসে তবে সায়েদিনা হামজা তার সাথে লড়াই করবে “সায়েদিনা হামজা অনেক শক্তিশালী ছিলেন”

দরজা খোলা হল এবং সায়েদিনা ওমার দারুল আকরামে প্রবেশ করলেন।এরপর রাসুল(সাঃ) ওমার ইবনে আল খাত্তাব এর নিকট গেলেন, তার হাত শক্ত করে ধরলেন এবং তার সাথে করমর্দন করলেন তারপর বললেন “এটাই কি তোমার জন্য ইসলাম গ্রহনের সময় নয়?” এবং ওমার কালেমা তাইয়িবা এর সাথেউত্তর করলেন যে “আল্লাহ্‌ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং মোহাম্মাদ(সাঃ) তার নবী”

সবাই আশ্চর্য এবং খুশি হল এবং আল্লাহু আকবর বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকলো যতক্ষণ না মক্কাবাসী তাদের আওয়াজ শুনল।মুসলমান ওমার ইবনে খাত্তাব ইসলামের অনেক বড় একটি বিজয় ছিল কেননা সে তার বাকি জীবন ইসলাম কে রক্ষা করতে এবং ইসলামের দাওয়াত দিতে উৎসর্গ করেছেন অর্থাৎ তিনি পৃথিবীতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রেখেছেন। এছাড়া তিনি খলিফা থাকাকালীন সময় অনেক যুদ্ধ জয় করেন।

সায়েদিনা ওমার রাসুল(সাঃ)এর কাছে কোন ভয় এবং লুকোচুরি ছেড়ে মক্কায় প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের অনুমতি চাইলেন, ফলে মুসলমানরা বাহিরে গেলো এবং সেখানে ৪০ জন পুরুষ এবং মহিলা ছিল।তারা ২ টি সারিতে দাঁড়ালো।একটি সারিতে সায়েদিনা হামজা এবং আরেকটি সারিতে সায়েদিনা ওমার প্রতিনিধিত্ব করেন। যখন রাসুল(সাঃ)২ লাইনের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তখন সবাই আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করছিল যার অর্থ আল্লাহ্‌ সর্বশক্তিমান।এবং এরপর তারা কাবায় গেলেন।কুরায়িশ এর লোকজন আশ্চর্য হল কিন্তু কিছু করতে পারল না এবং তারা বাড়িতে লুকিয়ে থাকলো।ইসলাম যে শক্তিশালী হচ্ছিলো এবং ইসলাম কে পরাজিত করা সম্ভব নয়।

চিন্তা করা যায়,কিভাবে শুধু একটি ব্যক্তির উপুস্থিতি একটি গোটা জাতিকে জিতিয়ে দেয়?আমরা হয়তো এমন কখনই পাবোনা যে একটি ব্যক্তি একটি গোটা জাতিকে শক্তিশালী করে।এ কারনেই সকল সাহাবারা এবং নবীজী ওমার ইবনে আল খাত্তাব কে এত বেশি ভালোবাসতেন এবং এটা আমরা পরবর্তী লেখায় আলোচনা করব।

চলবে………………

You can also read this article in English Here

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

View the Original article

0 comments: