বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার (Spread of Christianity throughout world)

on Friday, August 24, 2012

Spread of Christianity throughout world

মানবতার মহান মুক্তির দূত ছিলেন যিশু । যখন বিশ্ব মানবতা আঁধারে ডুবে ছিল, পাপ পঙ্কিলতায় ভরা পৃথিবীতে তিনি এসেছিলেন মুক্তির বারতা নিয়ে। তিনি মানুষকে সত্য পথ দেখিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন মানবতাকে একটি সংবিধান দিতে যার উপর ভিত্তি করে মানবতা পৌঁছাবে একটি স্থানে, যেখানে থাকবে শ্যামল সত্যের জয়গান। মানবতা পাবে এমন একটি সমাজ, যেখানে থাকবে না অত্যাচার, থাকবে না অবিচার। যেখানে মানুষ পাবে শান্তির দিশা। যিশু পৃথিবীতে ছিলেন অল্প কিছু দিন। মাত্র অল্প এই কয়েকদিনের জীবনে তিনি ছড়িয়েছিলেন এমন আভা, যার স্পর্শে মানবতা পুলকিত হয়েছিলো।

তাঁর প্রচারিত খ্রিস্টান ধর্ম সারা বিশ্ব ব্যাপী সমাদৃত হয়েছিলো। তিনি তাঁর সত্য ধর্ম প্রচারের দায়ে জীবন দিয়েছিলেন। তিনি মানুষকে মুক্তি দিয়েছিলেন সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা থেকে। যদিও তাঁকে তাঁর আদর্শের কারণে মৃত্যুকে বরণ করতে হয়ে ছিল। কিন্তু তথাপিও তিনি তাঁর অনুসারীদেরকে বলেছিলেন তাঁকে মনে রাখতে। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে মনে রেখেছিলো। এখন তাঁর প্রচারিত খ্রিস্টান ধর্ম সারা বিশ্বে সমাদৃত। কোটি কোটি মানুষ তাঁর প্রচারিত ধর্মের ছায়ায় এসে মুক্তি খুজে থাকেন। তিনি হলেন ঈশ্বর পুত্র।
সারা বিশ্বের অধিকাংশ প্রভাবশালী রাষ্ট্র সমূহ তাঁর প্রচারিত খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। অধিকাংশ সম্রাজ্য, যা গত হয়েছে, সেগুলা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী ছিল। রোমান সম্রাজ্য ছিল খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। এ ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক সম্রাজ্যের ধর্ম ছিল খ্রিস্টীয় ধর্ম।

বর্তমান বিশ্বে খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার লক্ষণীয়। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অসংখ্য খ্রিস্টান প্রচার সংস্থা। এরা বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে থাকে। এরা হতাশ জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে। এরা মানুষের জন্য বিভিন্ন রকমের সেবা মূলক কাজ করে থাকে। এরা এদের সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করে থাকে। এরা মানুষের প্রাত্তহিক জীবনের বিভিন্ন সেবা দানের মাধ্যমে তাদের মন জয় করে তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মের দিকে আহবান করে থাকে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্ম হল খ্রিস্টান ধর্ম। এর পরে রয়েছে ইসলাম। ইসলাম বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অনুসরণ করে থাকে। খ্রিস্টান ধর্ম একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্ম যেটা সব ধর্মের অনুসারিদের শ্রদ্ধা কুঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

তবে যে ব্যেপারটি চিন্তার, অনেক খ্রিস্টান এখন তাদের নিজ ধর্মের উপরে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে। এখন অনেক খ্রিস্টান-ই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে সরে আসছে। তারা জেভাবেই হোক নাস্তিকতার দিকে উৎসাহিত হচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে, কিছু কিছু চার্চের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ। তারা মানুষকে ঠকাচ্ছে। এ জন্য অনেক খ্রিস্টান-ই ধর্ম ছাড়ছেন। তবে বেপারটি আরও বিস্তারিত ভাবে গবেষণার গুরুত্ব রাখে। সস্তায় চার্চের উপর চাপিয়ে দিলেই হবে না। আরও অনেক কারন থাকতেই পারে। বেপারটি অবশ্যই গবেষণা সাপেক্ষ। তাই, সংশ্লিষ্টদের ব্যপারটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

আমাদের এ কথা গুলো ভুলে গেলে চলবে না যে, যিশু পৃথিবীতে খুব অল্প কিছুদিন ছিলেন। তিনি যে কয়েকদিন পৃথিবীর মানুষের সাথে ছিলেন, তিনি তাদেরকে সত্য শিখিয়েছেন। তিনি তাদের মাঝে আশা জাগিয়েছেন। তিনি তার পিতার রাজত্ব পৃথিবীতে স্থির করতে কাজ করেছেন। এ কথা আমাদের কারো অজানা নয় যে আমরা সবাই পাপ করি, যেটা শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর প্রথম মানব অ্যাডাম এর মাধ্যমে। তিনি এমন এক ফল খেয়েছিলেন, যেটা ছিল নিষিদ্ধ। এবং নিষিদ্ধ কাজ করার কারণে তিনি তার শাস্তি ভগ করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিলেন, যেটার শাস্তি ছিল মৃত্যু। মানবতা যখন খাবি খাচ্ছিল অন্ধকারের রাজ্যে, তখন যিশুর আবির্ভাব। যিশু এসেছিলেন মানবতার মুক্তির স্লোগান নিয়ে। তিনি মানুষ কে মুক্তির গান শুনিয়েছিলেন। তিনি মানবতার মুক্তির জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।


Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

About the author

mdemamhasan

I am a writer. writing is my passion. I like to write blog articles ezine articles and different directory sites.



View the Original article

0 comments: