তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীতে তিনি ছিলেন আশার আলো। তিনি শিখিয়েছেন সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য। তাঁর তুলনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই তিনি শুধুই যিশু। ইসলাম ধর্মে তাঁকে মহা মানব ঈসা নামে ডাকা হয় । ইসলাম বলছে, জিশু আল্লার নবী। আর খ্রিস্টীয় বিশ্বাস বলছে তিনি একজন ঈশ্বর পুত্র। ইসলাম বলছে তিনি মানবতার মক্তির দূত, যিনি মারিয়াম এর পুত্র। ইসলাম বলে, যিশু হলেন এমন একজন মানুষ যিনি কোন পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই মাতৃ গর্ভে এসেছিলেন। এবং এটা খোদার অসীম ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তবে খ্রিস্টীয় মতামত হল, যিশু ঈশ্বর পুত্র, যিনি ধরাধামে এসেছিলেন মানবতার ভুল শুধরাতে। তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মানবতার চির কল্যাণ নিশ্চিত করতে।
তবে ঈসা বা যিশু খোদার কাছ থেকে বাইবেল এনেছেন মানবতার পথের দিশা দিতে। ইসলাম ধর্ম মতে সেই কিতবটা ইঞ্জিল শারিফ। যাইহোক, বহু সংস্করণের পর সেটা বাইবেল। খৃস্টান সম্প্রদায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সম্প্রদায়। তাদের দুটো প্রধান দল হচ্ছে ১। ক্যাথোলিক এবং ২। প্রটেস্টাণ্ট
কথলিক সম্প্রদায় খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বর সম্প্রদায়। তারা ক্যাথোলিক চার্চ এর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে। আর প্রটেস্টাণ্ট হল যারা ক্যাথোলিক সম্প্রদায় থেকে বের হয়ে গেছে। তারা তাদের নিজেদের রাস্তায় জীবন চালায়। তবে তারা মৌলিক ব্যাপার গুলাতে প্রায় এক। অনেকটা মুসলিমদের শিয়া সুন্নি ব্যাপারটার মত। মুসলিমদের একটা অংশ ইসলামকে একটু ভিন্নু আঙ্গিকে অনুসরণ করে। আপনি অবশ্য প্রটেস্টাণ্ট দেরকে শিয়াদের মধ্যে ফেলতে পারেন । তারা ইসলামকে মানে এবং একি ভাবে প্রটেস্টাণ্টরাও খৃস্টান ধর্ম কেই মানে, কিন্তু তাদের নিজস্বতা আছে।
একটা সময় ক্যাথোলিক আর প্রটেস্টাণ্টদের মধ্যে সংঘর্ষ হত। তবে এখন ওই ব্যাপার গুলো অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় না, এর পেছনে ইতিবাচক নেতিবাচক, দু ধরনের কারণই আছে। তবে একটা চিন্তার ব্যাপার হল, অনেক খৃস্টান এখন শংশয়বাদি। তারা ভীষণ রকম অনাগ্রহী তাদের ধর্মের প্রতি। তারা মারাত্মক ভাবে তাদের ধর্মকে আফিম ভাবতে শুরু করেছে।
আমেরিকার খৃস্টানদের অধিকাংশই এখন শংশয়বাদি। একতা কমন প্রবণতা হল, খ্রিস্টানেরা তাদেরকে শংশয়বাদি দের মধ্যে অন্তরভুক্ত করতে উৎসাহিত হচ্ছে এবং এটাকে আধুকিনতার একটা ফেইস হিসেবে ধরে নিতে তারা প্রাউড ফিল করছে। কেন এটা হচ্ছে? কেন খৃস্টান ধর্ম এখন খ্রিস্টানদের কাছেই অগ্রহন যোগ্য হয়ে উঠছে, এই ব্যাপারটি গভির ভাবে ভাবতে হবে। যিশু যেদিন মানবতার মুক্তির গান গেয়েছিলেন, যেদিন এই অনুসারীদের মুক্তির জন্য উৎসর্গ করলেন তাঁর জীবন। সেই দিন তিনি অবশ্যই দুঃখ পাবেন যখন তিনি দেখবেন তাঁর অনুসারীরা তাঁর দেখানো পথ ছেঁড়ে নাস্তিকতায় উৎসাহিত হয়ছিলো আর তাঁর প্রচারিত রাস্তাকে অবহেলা করে ছিল।
যিশু পৃথিবীতে খুব অল্প কিছুদিন ছিলেন। তিনি যে কয়েকদিন পৃথিবীর মানুষের সাথে ছিলেন, তিনি তাদেরকে সত্য শিখিয়েছেন। তিনি তাদের মাঝে আশা জাগিয়েছেন। তিনি তার পিতার রাজত্ব পৃথিবীতে স্থির করতে কাজ করেছেন। এ কথা আমাদের কারো অজানা নয় যে আমরা সবাই পাপ করি, যেটা শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর প্রথম মানব অ্যাডাম এর মাধ্যমে। তিনি এমন এক ফল খেয়েছিলেন, যেটা ছিল নিষিদ্ধ। এবং নিষিদ্ধ কাজ করার কারণে তিনি তার শাস্তি ভগ করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিলেন, যেটার শাস্তি ছিল মৃত্যু। মানবতা যখন খাবি খাচ্ছিল অন্ধকারের রাজ্যে, তখন যিশুর আবির্ভাব। যিশু এসেছিলেন মানবতার মুক্তির স্লোগান নিয়ে। তিনি মানুষ কে মুক্তির গান শুনিয়েছিলেন। তিনি মানবতার মুক্তির জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
View the Original article
0 comments:
Post a Comment